স্লোগান ও প্রতিবাদ by Ink Soul
Written in (10 August, 2024)
Poem is about the August 9, 2024, Something happened — But What?
তারা তো সেই সময় ভগবান কেও ডাকে, কিন্তু কি বলবো আর ভগবানও সেই সময় তাদের অনুরোধে মুখ ফিরিয়ে যে থাকে।
যখন এদের সাথে ধর্ষণ,ও এদের অত্যন্ত ভয়ানক পদ্ধতিতে মার্ডার করা হয়,
তখন তো এরাও ভগবানকে নিশ্চয়ই একবার হলেও ডাকে?
যখন দ্রৌপদীর সভার মধ্যে বস্ত্রহরণ হচ্ছিল সেই সময় যখন দ্রৌপদী শ্রীকৃষ্ণ ভগবান কে ডেকেছিলেন আমরা সবাই দেখেছি যে তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীর সাহায্য করেছিলেন কিন্তু এই কলি যুগে ভগবানকে ডাকলেও ভগবান তার সাহায্যের জন্য আসে না? তাই প্রশ্নটা থেকেই যায় ভগবান কি সব জায়গাতেই আছে নাকি নাই?
তাদের কান্নাতে ও চিৎকারে ছুটে যায় না যে কেউ, মানুষ কিভাবে ও কবে হলো এত স্বার্থপর পাই না যে কোথাও এর উত্তর? কিসের এত ভয় তুমিও তো একদিন মরবে, তাই এমন কিছু ভালো কাজ করে মরো যাতে তোমার নাম হয় ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে অমর।
তাদের অনুভূতি, আবেগ, কষ্ট, যন্ত্রণা, বেদনা সবইকিছুই কি বৃথা, তারা কি শুধু পৃথিবীতে এসেছে সইতে অমানুষের অত্যাচারের ও ধর্ষণের দেওয়া যন্ত্রণা?
যেখানে হয় দুর্গা মায়ের পূজা, সেখানেই মেয়েদের কষ্ট এত কেনো সেরা?
তারা কি করবে, কি বলবে, কি পড়বে, কি জামাকাপড় পরবে, কি খাবে, কোথায় যাবে পাইনা যে খুঁজে, কে করবে তাদের সাহায্য কে দেখাবে তাদের পথ প্রশ্ন যে রয়েই যাচ্ছে?
তারা থাকবে কেন চুপ, তারা বলবে না কেন কোনো কথা? আমরা কি নিয়েছি তাদের কোনো সঠিক দায়িত্বটা? আর যদি নিয়েই বা থাকি আমরা তাদের দায়িত্বটা, তাদের উপর যে রাজত্ব করতেই হবে কোথায় লেখা রয়েছে সেটা?
তারা হতে চায় স্বাধীন, বাচতে চায় স্বাধীনভাবে, দেখতে চাই যে এক স্বাধীন জীবনের সূর্যের আলো। তাদের এইসব কষ্ট থেকে মুক্ত না করা অমানুষদের হবে না কোনদিনও ভালো।
তাই সবাই এসো গড়ি এক নতুন ভারতের ও ভারতীয় সংবিধানের ও আইন ব্যবস্থার এক পরিষ্কার ও নতুন নকশা যেখানে মেয়েদের জীবন হবে না সস্তা।
যারা দেয় জন্ম, তাদেরই অমানুষরা নেই কেন প্রাণ?
কি হবে এই দুনিয়ার এত ধন সম্পদ?
যখন আমরা যাকে লক্ষ্মী বলি সেই থাকবে না কোথাও, তবে একটা কথা বোঝাই যাচ্ছে সবাই করছে ইন্টারনেট ও রিলসের মিথ্যা দুনিয়ায় ধ্যান, কেউ যে আসছে না লড়াইয়ে, প্রতিবাদে ও আন্দোলনে সামনে, সবাই যে করছে মিথ্যা ধ্যান।
আমার সোনার বাংলা তুমি যে আর সোনার নও, না না সেটাতে তোমার নয় যে কোনো দোষ, সেটা হচ্ছে কারণ কিছু অমানুষের দোষ। তারা বারংবার প্রতিবার যে একের পর এক করে চলেছে অত্যাচার, ক্রাইম ও ধর্ষণ, কিন্তু তাদের কেনো নেই কোন হোস?
মা মাটি মানুষ, মায়েরা, বোনেরা, দিদিরা, ছোট বাচ্চামেয়েরা, বৃদ্ধ মহিলারা সবার সুরক্ষায় যে উঠছে প্রশ্ন, কে করবে তাদের রক্ষা? কে নেবে তাদের দায়িত্ব? তারা যদি চাই নিজেরা কিছু করতে, সমস্ত দিক থেকে হয় যে তাদের আটকানো। তাই বলি নেই তাদের কোন সুরক্ষা এই বাংলার মাটিতে হয়েছে দূষিত এই বাংলার মাটি নেই আর আগের মতো।
শুধুমাত্র মানুষের আশাতে ও অপেক্ষাতে যাচ্ছে সময় যে যদি কিছু হত, তাদের আন্দোলন হচ্ছে যে বৃথা করছে না যে তাদের কেউ সাহায্য।
তারা কিছু না করলে তাদের বলা হচ্ছে তুমি কিছু করো না এবং যখন তারা কিছু করতে যাচ্ছে বা চাইছে তখন তাদের কিছু করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বাংলার মাটি হয়েছে দূষিত এবং উঠেছে এক মন্দ ঝড়ো আবহাওয়া যা করে চলেছে সবাইকে বিশৃঙ্খলিত।
যারা বাঁচাই জীবন, তাদেরই যায় কেনো জীবন?
শিক্ষা চাই, শাস্তি চাই, ন্যায়বিচার চাই, পরিবর্তন চাই, যারা নিয়েছে তাদের জীবন।
করবো প্রতিবাদ, করবো আন্দোলন, করবো লড়াই, গড়বো নতুন ভারত।
জ্বলবে নতুন ভারতের এক নতুন আলোর শিখা,
থাকবো না চুপ, করবো পরিবর্তন, গড়বো দেশের পথ, লিখব ভারতের সংবিধানের নারীদের সুরক্ষার এক নতুন অধ্যায়, যেখানে নারীদের সুরক্ষা দিতে সবাই আসবে আগে ও যেখানে থাকবে সবার নারীদেরকে নিয়ে এক ইতিবাচক একমত।
তাই পাশে থাকুন, গড়বো জোট,
ভালো-মন্দ বুঝে-সুঝে করবো ন্যায়-বিচার,
আর তারপরে ন্যায়-বিচার করে দেবো নিজেদের মতামত।
হোক আমার ভারত সুশিক্ষিত,
হোক আমার ভারতের সকল অমানুষ শিক্ষিত,
এবং পরিবর্তন আসুক ও পরিবর্তন হোক ও বদলে যাক সেই অমানুষের চোখের দেখার ভাষা,
এবং বন্ধ হোক সমস্ত রকম অত্যাচার।
আর যদি হয় আবার অত্যাচার,
এই ভাবেই লিখব কবিতা আনব মানুষের মনের সাহস, আনবো এক পরিবর্তন এর ঝড়, দেখাবো এক সঠিক পথ, আবার করবো লড়াই, আবার করবো আন্দোলন,
ও আবার করবো প্রতিবাদ, এবং চাইবো এক সঠিক ন্যায় ও বিচার।
তাই আমার সাথে কারো প্রতিজ্ঞা হয় যদি এইরকম অত্যাচার আরো,
তাহলে আর থাকব না চুপ করব জোট ও জড়ো।
আবার তৈরি করব এক নুতন জোট এবং নেব এক কড়া সিদ্ধান্ত ও মতামত।
বিপ্লবের মন্ত্রে আমরা একত্রিত হবো,
মধ্যস্থতা না করে, সতর্কভাবে চলবো,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটানা যুদ্ধ চালিয়ে যাবো,
নতুন দিনের শুরুর সপ্ন দেখে নতুন আশা দেখাবো।
হোক আমাদের লক্ষ্য সঠিক, হোক আমাদের গন্তব্য এক,
নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে, আমরা গড়বো নতুন পথ,
যেখানে কোনো অপদার্থতা আর থাকবে না,
বলে দেবো, \"আমাদের স্বপ্নের বাস্তবতা, এটাই নতুন ভারত।\"
শিক্ষার আলোয়, স্বপ্নের দেশে,
একটি মেয়ে, জীবন যে খোঁজে,
অন্ধকারে লুকিয়ে, ক্লান্তি যে সয়ে,
আঘাতের চিহ্ন, হৃদয় রক্তপাতে,
বিচারের খোঁজে, দাঁড়াই একসাথে।
হাসপাতালের কোণে, কান্নার সুর,
একটি ডাক্তার, স্বপ্নে ছিল পূর্ণ,
আকাশের তারা, এখন অন্ধকার,
আঘাতের গল্প, হৃদয়ে বীজ বুনে,
শান্তির খোঁজে, লাগবে সাহসী গুণ।
নীরবতার মাঝে, প্রতিধ্বনি তার,
মৃত্যুর সিক্তে, অশ্রুর ভার,
ভুলে যাবো না, তার নামের গুণগান,
একসাথে আমরা, করবো প্রতিবাদ,
যতদিন না হবে, নিরাপত্তার প্রমাণ।
আমাদের হৃদয়ে, তার স্মৃতি রবে,
মুক্তির চেতনা, ভেঙে দেবে সবরে,
অবিচারের বিরুদ্ধে, আমরা একসাথে,
বিশ্বাসের আলো, ছড়িয়ে পড়বে,
নিশ্চয়তার পথে, ধাপে ধাপে।
মৃত্যুর নীরবতা, হৃদয়ে বাজে যন্ত্রণা,
একটি জীবন শেষ, নেই তার কোন চিহ্ন,
বিচারের কাঁধে, বয়ে যায় বেদনা,
মানবতার পথ, আজও অন্ধকারে ঘেরা,
নিরাপত্তার আশায়, আমরা যেন না ভেঙে যাই।
আইনি ব্যবস্থা হয়েছে যে দূষণ, করেছে রাজনীতির লোকেরা, কে তৈরি করবে আইন ব্যবস্থার এক নতুন অধ্যায়, যদি যাও কোর্টে, কেস চলবে পূর্ব পুরুষ ধরে, তার থেকে যে না যাওয়াই ভালো কোথাও করো আন্দোলন, করো লড়াই।
এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, এত দুর্নীতি, ও এত দুর্নীতি, আবার দুর্নীতির মধ্যে দুর্নীতি, তার মধ্যে দুর্নীতি এতটাই দুর্নীতি যে দুর্নীতিও বলে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলার কিছু রাজনৈতিক লোকেরা আমাকে ভালো করে ব্যবহার করতে যে জানে।
উঠেছে প্রশ্ন সুরক্ষার, উঠেছে ঝড় সুরক্ষার এবার আর থাকলে হবে না চুপ, ব্যবস্থা করতে হবে তাদের রক্ষার।
লিখলে যে যায় অনেক কিছু লেখা, কিন্তু কি হবে এত লিখে কেউ তো পড়ে না, কেউ যে শোনে না, তাই শেষে বলে গেলাম যদি পাও সময় নিজের জীবনে একটুও তাহলে খুলে দেখো একবার ইতিহাসের পাতা পড়ো ইতিহাস। জানতে পারবে যে সবকিছুই, বুঝতে পারবে তাদের পরিশ্রম, অনুভব করতে পারবে তাদের বেঁচে থাকার যন্ত্রণা, কষ্ট, তখনই বুঝতে পারবে যে তারা কেন এতটা শ্রেষ্ঠ।