আমরা যারা ত্রিশের আশেপাশে বয়সী, বিবাহিত নারী বা পুরুষ, তাদের একটা বাসা ছিল। ভাড়া বা নিজের, গ্রামে বা শহরে, কুঁড়ে ঘরে বা মহলে কোথাও একটা বাসা ছিল।ছোট বেলা থেকে সেই বাসাটায় বসবাস। মা, বাবা, ভাই, বোন, আপনজন নিয়ে একটা বাসা।
স্কুলের দুরন্তপণা, কলেজের দস্যিপণা, কর্মব্যস্ততা শেষে ফিরে আসার একটি ঠিকানা। ফাইভ স্টার কোন হোটেল ও এতটা শান্তির না যতটা নিজের সেই ঠিকানাটা। ব্রেকাপ শেষে মুখ লুকিয়ে কাদার একটা বালিশ, আম্মু আব্বুর ঝাড়ি হজম করে ধপাস করে বসার একটা সোফা। প্রিয় চা এর কাপ, অতি সাধারণ কোন একটা কোণ, শীতের সকাল আর শরতের সন্ধ্যার বদলে যাওয়া আলো, আশেপাশের পাড়া পড়শী সব যখন চেনা হয়ে যায় ঠিক তখন ছেলে মেয়েগুলো যৌবণে পৌছে। বাবা মা গুলো বার্ধক্যে।
ভাই বোনের বিয়ে হয়ে যায়। বড় ভাই অনেক বড় প্রফেসর হয়ে ব্যস্ততায় দিন পার করে। ছোটো ভাইটার হয়তো বা কানাডা অথবা অস্ট্রেলিয়া ভিসা হয়ে যায়। বাবাটা বা মাটা বার্ধক্য যাত্রায় রওনা হয়ে যান। সেই "নিজেদের বাসা" ঠিকানাটা আর সেরকম থাকে না। বাসাটা আর সেই শান্তির নীড় থাকে না।
আমার একটা বাসা আছে, একটা বাসা আছে-ভাবতে থাকা মনটা হঠাৎ আবিষ্কার করে ঠিকানা একটা রয়েছে কিন্তু বাসাটা আর নেই। কবে, কখন সে হারিয়ে গেল, নতুন আরেকটা বাসা আমার হয়ে গেল যে বাসার আপনিই মা, আপনিই বাবা, শিকড় গজিয়ে গেছে আপনার নতুন এক ভূমিতে সে শিকড় ছেড়ার আর উপায় নেই।
মন তবু চায় - আমার সেই নিজেদের বাসাটায় আরেকবার যদি আবার আগের মত থাকতে পারতাম। বাবা মা, দুই ভাইদের সাথে যদি আর একবার জীবন টা কাটাতে পারতাম !
TT Chowdhury
20/06/2024
- Author: Spring (Pseudonym) ( Offline)
- Published: June 20th, 2024 08:20
- Category: Unclassified
- Views: 6
Comments1
I love writing with duo
Languages, I
May not be able to follow yours but it is beautiful in print
Be the light
That shines on Mercy's face
Sei das Licht, das scheint
Auf Mercys Gesicht
Thank you so much for liking my writing. Hope you can translate into your language enjoy the writing 🙂
Cheers!
To be able to comment and rate this poem, you must be registered. Register here or if you are already registered, login here.